top of page
..

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপ্রাণী বাঘরোল: তথ্যচিত্রে উঠে আসছে ওদের বাঁচানোর দাবি



পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপ্রাণী বাঘরোল বা Fishing cat। অবহেলিত একটি প্রজাতি। তাদের নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে মানুষের মধ্যে এমনকি সংবাদমাধ্যমে। হারিয়ে যাচ্ছে তাদের আসাবস্থল। কমে যাচ্ছে ওরা সংখ্যায়। ওদের কথা জানাতে তাই তথ্যচিত্র বানাতে এগিয়ে এলেন দুই তরুণ- শুভজিৎ মাইতি কৌশিক মুখোপাধ্যায়। তাদের এই নতুন ছায়াছবি নিয়ে আলাপচারিতায় বনেপাহাড়ে ওয়েবজিনের সম্পাদক সুমন্ত ভট্টাচার্য্য। আজ শেষ পর্ব



বনেপাহাড়ে: রাতের ছবিগুলো কিভাবে পেতেন?


শুভজিৎ: ক্যামেরা  ট্র্যাপ ছিল আমাদের একখানা। তাতে তো নাইট ভিশান থাকে। রাতের অন্ধকারে ক্যামেরা ট্র্যাপগুলো ভিডিও তুলতো। এছাড়াও নাইট ভিশান ক্যামেরাও আমরা ব্যবহার করেছি।


কৌশিক: নাইট ভিশান ক্যামেরার তো অনেক দাম। আমরা সাধারণ ডি এস এল আর ক্যামেরাই টেকনোলজির সাহায্যে কিছু পরিবর্তন করে  নাইট ভিশান বানিয়েছি।


বনেপাহাড়ে: আর সেটা ভাল কাজ দিয়েছে?


শুভজিৎ: বেশ ভাল কাজ দিয়েছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে বাইরে থেকে আলো আমাদের দিতে  হয়েছিল। সেই আলোগুলো আমার এইসব কাজের গুরু তন্ময় ঘোষের থেকে পেয়েছিলাম। তারপরে এই লক ডাইন পড়ে গেল যখন-তখন রাত্রিবেলা  চুরিচামারি বেড়ে গেল। নারকেল গাছ, কলাগাছ থেকে বা পুকুরের মাছ এইসব।  সেইসময় আমার বাড়ির পিছেন অনেকটা বড় যে জলা আছে সেখানে যাতে চুরি না হয় সারারাত বড় একটা ৫০ ওয়াটের লাইট জ্বলত। তাতে দেখলাম সেই আলোয় এখানকার ফিশিং ক্যাট আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেল। প্রথম দিকে দেখিনি। তারপরে আস্তে আস্তে ওরা আসা শুরু করল।চোখে দেখতে পাচ্ছি।  তখন আর ফটোগ্রাফির লোভ সামলাবে কে! তারপরে কৌশিক এসে ধীরে ধীরে ফটোগ্রাফির কাজ শুরু করল।




বনেপাহাড়ে: তার মানে আপনার বাড়ির পিছনেই একটা ভাল রকমের  কাজ হয়েছে এই ছবির জন্য।


শুভজিৎ: হ্যাঁ, রাতের আলোর ফুটেজগুলো ওখান থেকেই পাওয়া।  বাদবাকি ক্যামেরা ট্র্যাপের ফুটেজগুলো বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তোলা। যেমন ধরুন একটা ফুটেজ আছে ফিশিং ক্যাটে ইঁদুর খাচ্ছে। এটা আমতার ফুটেজ।


তথ্যচিত্রের ট্রেলার


কৌশিক: সেখান থেকে মৃদুলকান্তি কর ছবিটি পায়। আমাদের দলেরই সদস্য। সবাই তো জানে ফিশিং ক্যাট মাছ খায়। তা আমরা দেখিয়েছি ওরা মাছও খাচ্ছে,  সাপও খাচ্ছে, ইঁদুরও খাচ্ছে, গবাদি পশুকেও আক্রমণ করেছে।


বনেপাহাড়ে: শুটিং করতে কোন বাধার মুখোমুখি হয়েছেন কোথাও?


 শুভজিৎ: প্রথম বাধা ছিল লক ডাউন। তখন তো সব কিছু বন্ধ। কিন্তু জন্তুরা ঘোরাফেরা করছে। এদের তো তখন কোন বাধা নেই। তাই শ্যুট করাটা সহজ ছিল। কিন্তু আমাদের ঘোরাফেরা খুব মুশকিল ছিল।


কৌশিক: এমনকি পুলিশের কাছে মার খেতে হয়েছে!


শুভজিৎ:  আমরা ভিতর ভিতর রাস্তা দিয়ে ঘুরেছি মোটর সাইকেল। তবে তেল ভরতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খেয়েছি।


বনেপাহাড়ে: কিন্তু আসল শ্যুট করতে গিয়ে কোন বাধা পেয়েছেন?


শুভজিৎ: আসলে কেউ কেউ মনে করে ফিশিং ক্যাট তাদেরই সম্পত্তি। তাই আমাদের কাজ দেখে কারুর কারুর গাত্রদাহ হয়েছে। সেই বিষয়ে আর বেশি না বলাই ভাল। বনদপ্তরের সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ রাখাটাও তারা ভাল চোখে দেখেনি।





বনেপাহাড়ে: ছবি বানানোর খরচা কি আপনারাই বহন করেছেন?


শুভজিৎ: পুরোটাই আমরাই বহন করেছি।  আমি, কৌশিক। তাছাড়া আমাদের সঙ্গের যে ছেলেরা আছে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের তারাও কোন টাকা পয়সা না নিয়েই সাহায্য করে।


কৌশিক: মঞ্চের ছেলেরা আর এছাড়া স্থানীয় শুভজিৎদার পরিচিত লোকরা নির্দ্বিধায় সাহায্য করেছে নিজেদের কাজকর্ম ফেলে। শুভজিৎদা অনেক পরিমাণ টাকা দিয়েছে। আমার নিজের মায়ের গয়না বিক্রি করা, নিজের মোটর বাইক বিক্রি করা, বাবার প্রভিডেন্ট ফান্ড ভেঙ্গে টাকা নেওয়া, লোন করা।



বনেপাহাড়ে: আর এই পুরোটাই আপনারা করেছেন   ফিশিং ক্যাটের প্রতি ভালবাসা জায়গা থেকে।


কৌশিক: একদমই তাই। আমরা ফিশিং ক্যাটদের সামনে নিয়ে আসছি ঠিকই, কিন্তু মূল উদ্দেশ্যে তো জলাভূমি বাঁচানো। তাহলে কোন জীবজন্তুই থাকবে না।


শুভজিৎ: প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ শিডিউল ১ ও ২ জন্তু রয়েছে।


বনেপাহাড়ে:  তাহলে ছবিটি আমরা কবে দেখতে পাব?


কৌশিক: আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটি মুক্তি পেয়ে গেছে। জাতীয় স্তরে মুক্তির জন্য ‘শের’ নামক যে সংগঠন আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে তারাই দেখবে। সময় সুযোগ হলে তারা সেটা করবেন সেই প্রত্যাশা।




বনেপাহাড়ে: আপনাদের এইসব এলাকা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে আর কোথায় কোথায় বাঘরোল  পাওয়া যায়?


শুভজিৎ:  একটা সার্ভে হয়েছিল যেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, জুওলজিকাল সার্ভে  এবং নিউজ বলে একটা সংগঠন এদের উদ্যোগে। স্ট্যাটাস সার্ভে হয়েছিল।কোথায় ফিশিং ক্যাট পাওয়া যায় বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গের জীববৈচিত্র পর্ষদ অনুদান  দিয়েছিল।  সম্রাট চক্রবর্তী গবেষণাটি লিখেছিলেন। এই ছবিতে সেই  গবেষণা আমরা তুলে ধরেছি। তারা মানচিত্রে  ২/২ কিলোমিটার করে গ্রিড করেছিল। কোথায় কোথায় তারা এই জীব পাচ্ছে তা সেখানে তারা চিহ্নিত করেন। তো সেই হিসাবে সুন্দরবনে পাওয়া যাচ্ছে। ওদিকে বনগাঁ।  হাওড়া, হুগলী , ওদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাওয়া যাচ্ছে ভাল রকম। তাছাড়া ওরা বাঁকুড়ায় পেয়েছে। ওরা পাহাড়ের দিকেও গেছিল। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার।




কৌশিক: স্পোর সংগঠন থেকে যা রিপোর্ট পেয়েছি জলপাইগুড়ি বা  আলিপুরদুয়ারে পাওয়ার রেকর্ড নেই। তবে মালদহে পাওয়া গেছে।


শুভজিৎ: নদীয়ায় পাওয়া যাচ্ছে, বর্ধমানে পাওয়া যাচ্ছে।


বনেপাহাড়ে: মানে দক্ষিণ বঙ্গের অনেক জেলাতেই পাওয়া যাচ্ছে।


শুভজিৎ: যাচ্ছে। কিন্তু খুব কম। যে পরিমাণ বাঘরোল আমাদের হাওড়ায় পাওয়া যায় সেই ঘনত্বে  পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না।  এই কাজ করতে গিয়ে অনেক দেশ-বিদেশের সংগঠনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে আমাদের। তারা এসেছে এখানে। সবাই একই কথা বলে গেছে।  ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ‘স্মল ক্যাটস অব ইন্ডিয়া’ বলে একটা সিরিজ আছে।  সেই সিরিজটা আমাকে সহ ওরা দেখিয়েছিল। আমার কাজ, ফিশিং ক্যাটের গতিবিধি ইনফ্রারেড ক্যামেরায় যা ধরা তা দেখিয়েছেন ওরা। তখন তারাও এসে বলেছিলেন যে, এভাবে এত ফিশিং ক্যাট পাওয়া যায়নি অন্য কোথাও। এমনকি বাংলাদেশেও পাওয়া যায়নি।





কৌশিক: আমাদের হাওড়ায় যে সংখ্যায় আছে তা অন্য  এলাকার তুলনায় বেশি।


বনেপাহাড়ে: কিন্তু সঠিক সংখ্যা তো জানা যায় না।


শুভজিৎ: কাজ অনেকেই করেছেন। কিন্তু সংখ্যা নির্ধারণের কাজটা তারা পারেননি বা করেননি। আর একটা বাঘরোল থেকে আর একটাকে আলাদা করাটা একটু অসুবিধার। সেই উপায়টা বার করা যায়নি। বাঘের যেমন ডোরাকাটা আলাদা হয়, তেমনই এদেরও ছবির বিশ্লেষণের  সফটওয়ার তৈরি করা গেলে সুবিধা হবে। তাতে অনেকটাই খরচ হবে।


বনেপাহাড়ে: গবেষণা কেমন চলছে এদের নিয়ে?


শুভজিৎ: সম্রাট চক্রবর্তী বা আমেরিকার গবেষক সাম্যজিৎ বসু  এনারা করছেন। সম্রাট আমাদের এখানে গবেষণা করেছেন । ২০১৮, ১৯ এই সময়ে।  সাম্যজিৎ বাঘরোলের জিনের উপর কাজ করছেন।  তাই বাঘরোলের মলের নমুনা বিশ্লেষণ করে গবেষণা করেন।ব্যাঙ্গালোরের এন সি ডি এসেও কাজ হয়েছে। কিন্তু কত সংখ্যায় আছে হাওড়ায় বা পশ্চিমবঙ্গে তা নিয়ে ক্জ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের তো করা উচিত।


আমাদের টাকার জোর নেই। গলার জোর আছে। মানুষকে গিয়ে বলি, এদের ভালবাসো। মেরো না। এ তো তোমাদের জিনিস।



বনেপাহাড়ে: বনবিভাগের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন এই বিষয়ে?


শুভজিৎ: আমাদের তেমন জানা নেই। হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের মত সংস্থা সচেতনতামূলক কাজগুলো করে স্কুলে বা কলেজে। আমাদের টাকার জোর নেই। গলার জোর আছে। মানুষকে গিয়ে বলি, এদের ভালবাসো। মেরো না। এ তো তোমাদের জিনিস। আমাদের এতেও খরচ হয়। পকেট থেকে দিই। অনেক মানুষ সাহায্য করেন।




বনেপাহাড়ে: তাহলে কিভাবে বাঁচানো সম্ভব বাঘরোলদের? সচেতনতা দিয়ে?


শুভজিৎ: সচেতনতা লাগবে। সাধারণের কাছে এভাবেই পৌঁছালে সরকার বা বনবিভাগ সক্রিয় হবে।


কৌশিক: আর মূল বিষয় হল জলাভূমির সংরক্ষণ।


শুভজিৎ: জলাভূমিকে তো আইনে সংরক্ষণ দেওয়া আছে। কিন্তু মানুষ নিজের নামে করে ফেলেছে।  এখানে এত কলকারখানা হলে মানুষ বাঁচবে কি করে? কিছু জমি তো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কিছু জলাজমি অধিগ্রহণ করে যদি সংরক্ষিত এলাকা করা যায়!  আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো এই ব্যাপারে কিছু করে বলতে পারেন যে দেখ রাজ্যপ্রাণীকে বাঁচাতে এই করেছি।জঙ্গল বা জলাকে সংরক্ষণ করেছি। তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি রাজ্যপ্রাণীর জন্য কী করেছেন তবে তিনি কী বলবেন? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো। দল পরে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।  আমাদের এখানে তো বাইরে থেকে, জাপান সহ নানা জায়গা থেকে লোক আসে। তারা জিজ্ঞাসা করে সরকার কী করছে  তোমাদের? আমরা কিছু বলতে পারি না। চুপ করে থাকি।



আমাদের দেউলপুরের যে ছেলেদের দলটা আছে তাদের দিয়ে কাজটা করাই।  এদের যদি রাখতে চাই,  এরা বাঘরোল বাঁচাতে যে পরিশ্রমটা করে, সংরক্ষণের কাজটা করে তার জন্য তো আমি পয়সা দিতে পারি না।  ওদের তো ঘর সংসার আছে।



কৌশিক: সবচেয়ে পরিতাপের বিষয়  যে বাইরের লোক কিছু খারাপ বললে সত্যি তো গায়ে লাগে।


বনেপাহাড়ে: আপনারা  একটা পর্যটনকেন্দ্রিক পদক্ষেপ নিয়েছেন  যাতে এখানেবাঘরোলকে কেন্দ্র করে একটা সমান্তরাল অর্থনীতি তৈরি হয়। এটা কতদূর সাহায্য করবে বলে মনে হয়?


শুভজিৎ: দেখুন আমাদের আর্থিক ক্ষমতা অনেক কম ।   একটা টুরিজম প্রকল্প করতে যে  অর্থ লাগে তার সিকিভাগও নেই।  আমাদের তো  পর্যটন বিভাগের সাহায্য দরকার। তাহলে আমরা হোম স্টে চালু করতে পারি। লোকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দিতে পারি। সেখানে অতিথিদের রেখে তার থেকে এক , দেড় হাজার টাকা লাভ রাখতে পারে এক রাতে।থাকতে দিতে হবে, খেতে দিতে হবে আর একটু ঘুরতে হবে। এর থেকে রোজগার হলে এতে ক্ষতি কী?


বনেপাহাড়ে: এখন শুনছি যে অতিথিরা আসেন কলকাতা থেকে এতে কতটা কী লাভ হচ্ছে?


শুভজিৎ: আমরা দেখাই তো। আমাদের দেউলপুরের যে ছেলেদের দলটা আছে তাদের দিয়ে কাজটা করাই।  এদের যদি রাখতে চাই,  এরা বাঘরোল বাঁচাতে যে পরিশ্রমটা করে, সংরক্ষণের কাজটা করে তার জন্য তো আমি পয়সা দিতে পারি না।  ওদের তো ঘর সংসার আছে। ওরা যদি পয়সার অভাবে কাজটা না করতে পারে প্রাণীটা হারিয়ে যাবে। তাহলে ক্ষতিটা কার?


বনেপাহাড়ে: ওরা সংরক্ষণের কাজে কিভাবে সাহায্য করে?


শুভজিৎ:   এই যে ওদের কোথায় দেখা যাচ্ছে, কোথায় জাল দেওয়া হচ্ছে বা ফাঁদ পড়েছে তা তুলে দিয়ে আসা বা উদ্ধার করা। আমি হয়ত এলাকায় নেই। ওরা যাচ্ছে।


বনেপাহাড়ে: মানে ওরা সবসময় সতর্ক থাকছে?


শুভজিৎ: একদম। এমনকি কাছাকাছি না থাকলেও ফোনে যোগাযোগ থাকছে। কোথাও বাঘরোল ধরা পড়েছে তো ওরা ছুটে যাচ্ছে। এমনকি আমরা মবাঁচাতে গিয়ে। বাঁশ নিয়ে এসেছে বাঘরোলটাকে পিটিয়ে মারবে বলে। লাঠি পড়ছে চারপাশ থেকে। আমরা ঘিরে রয়েছি। আমাদের গায়ে লাঠি পড়ছে।



বনেপাহাড়ে: এমনটা কোথায় হয়েছিল?


শুভজিৎ: দেউলপুরের পাশের গ্রাম জয়রামপুরে। শুয়োর ধরার ফাঁদে বাঘরোল আটকে যায়। তারা ওসব দেখে না। বলছে বাঘ পড়েছে। এবার মেরে বীরত্ব দেখাবে। আমরা গিয়ে ঘিরে নিয়েছি। মারা যাবে না। বনবিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। ততক্ষণ কিছু করা যাবে না। আমি তো পাগলের মত ফোন করে যাচ্ছি ডি এফ ও ম্যাডামকে। এদিকে সেদিন রবিবার। লোক কম। বেশির ভাগ অফ ডিউটিতে। ওখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমরা দুটো বাঘরোল উদ্ধার করেছি।


বনেপাহাড়ে: এরাই অতিথিদের সাথে রাতে ঘুরে দেখাচ্ছেন?


শুভজিৎ: হ্যাঁ ওরাই দেখাচ্ছে খুঁজে খুঁজে। তাছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারও আছে। সেটাও দেখতে হয়।


বনেপাহাড়ে: কখন ওদের ভাল দেখা যায়?


শুভজিৎ: এটা সন্ধেবেলার পরেই দেখা যায়। ওরা তো নিশাচর প্রাণী হয় সাধারণত:। আর মানুষ থেকে দুলে থাকে ওরা। ওদের খুঁজে বার করা যার তার কম্ম নয়। এটা আমরা বুঝেছি। পুরো ফিল্ড ওয়ার্ক করতে দম বেড়িয়ে যায়।



কৌশিক: আপনারাও আসুন দেউলপুরে। ওদের দেখে যান।

 

*সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত বক্তব্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজস্ব। 




 

ছবি : কৌশিক মুখোপাধ্যায় ও শুভজিৎ মাইতি








Comentários


Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG
bottom of page