top of page
...

বন্যপ্রাণী করিডর কেন গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে?

বনেপাহাড়ে পত্রিকায় বিভিন্ন বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত রচনায় আমরা জোর দিয়েছি বন্যপ্রাণী করিডর বা সংযোগ রক্ষাকারী পথগুলির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায়। শুধু অরণ্য বাঁচালেই যে হবে না, তার সাথে সংরক্ষিত অরণ্যের বাইরে থাকা এই করিডরগুলি যে বাঁচাতে হবে তা নাগরিকদের ও সরকারকে বুঝতে হবে। তবেই বন্যপ্রাণী বাঁচবে। সে বাঘ , হাতি, সিংহ হোক বা অন্য প্রাণী এমনকি সামুদ্রিক জীব বা পাখি। আলোচনায় দিব্যা কিলিকার



তামিলনাড়ুতে হাতিদের চলাচলের পথে সতর্কবার্তা

বন্যপ্রাণী করিডর আসলে ওদের বাসভূমিরই অংশ। ছোট অংশ। যারা বড় আবাসস্থলগুলির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। যেসব বন্যজীবেদের আবাসস্থল হয়ত মনুষ্য বসতি, কোন রাস্তা বা বাঁধ বা রেলপথ বা অন্য কোন কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে একে অপরের থেকে।   এইসব করিডর বা সংযোগরক্ষাকারী পথগুলির মাধ্যমে আলাদা আলাদা বনজ বাস্তুতন্ত্রে বন্যপ্রাণীদের যাতায়াত সম্ভব হয় –খাদ্যের খোঁজেই হোক বা সঙ্গীর খোঁজে বা অন্য কোন প্রয়োজনে।

কিছু কিছু দেশে কৃত্রিম উপায়ে এইসব করিডর বানানো হয় আন্ডার-পাস বা ওভারব্রিজ বানিয়ে। যেমন নরওয়ে তে একটি ‘bee highway’ রয়েছে অসলো শহরে যা মূলত: পরিকল্পিত উপায়ে নির্মিত বাগান, জায়গায় জায়গায় বানানো কৃত্রিম মৌচাক দিয়ে তৈরি।  এভাবে  এই পথ উত্তর-পশ্চিমে  Holmenkollen থেকে দক্ষিণ-পূর্বে Nøkkelvann হ্রদ অঞ্চলে  মৌমাছিদের যেতে সাহায্য করে।

করিডরগুলিকে তাদের আকৃতির উপরে ভাগ করা যায়। তারা হতে পারে সরলরৈখিক (linear) বা  আপাত-বিচ্ছিন্ন (stepping stone), বা বড় ভৌগলিক এলাকা জুড়ে থাকা  landscape করিডর। ভারতে এই করিডরগুলিকে চিহ্নিত করার  বিষয়টি মূলত: নির্ভর করছে এমন কোন বড় জন্তুর ব্যবহারের উপর যাদের umbrella species বলে গণ্য করা হয়।  এইসব পশুর সংরক্ষণ বৃহত্তর ক্ষেত্রে অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সাহায্য করে। ভারত সরকার বাঘ ও হাতিকেই সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে করিডর চিহ্নিত করতে। যেহেতু   এদের সংরক্ষণে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়, এদের সাথে একই অঞ্চলে থাকা অন্য প্রাণীরাও উপকৃত হয়।


মধ্যপ্রদেশে কানহা-পেঞ্চ টাইগার করিডরকে বাঁচাতে ৪৪ নং জাতীয় সড়কে তৈরি আন্ডারপাস, যা গেছে হাইওয়ের তলা দিয়ে। সংরক্ষণের সাথে যুক্ত কর্মীদের অনেক দাবিদাওয়া ও লেগে থাকার ফল। যদিও এমন আন্ডারপাসের অনেক দরকার এখন যেভাবে সারা দেশে অরণ্যের মধ্যে দিয়ে সড়ক ও রেলপথ বিস্তার পাচ্ছে।


কেন সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী করিডর বেশি গুরুত্বপূর্ণ


করিডর বন্যপ্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য দরকার। কোন প্রজাতির প্রাণীর বিভিন্ন আলাদা  গোষ্ঠী (sub population) যে থাকে তাদের মধ্যে সুবিধা হয় যাতায়াতে। ফলে তাদের খাদ্য সংগ্রহ ও প্রজনন সহজ হয়। জিনগত বৈচিত্র রক্ষা করতে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্য মিলন দরকার। জিনগত বৈচিত্র অসুখ বিসুখ ও পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে লড়াইতে সাহায্য করে প্রাণীগোষ্ঠিকে। National Tiger Conservation Authority (NTCA) –র সুপারিশ মত কোন একটি বাঘেদের গোষ্ঠীতে অন্তত ৮০ থেকে ১০০ টি বাঘ থাকতে হবে তাদের জিনগত বৈচিত্র বজায় রাখতে। যার মধ্য ২০টি অন্তত প্রজননক্ষম মেয়ে বাঘ হতে হবে। Wildlife Conservation Trust (WCT) এর সমীক্ষা অনুযায়ী মধ্য ভারতে কোন বাঘেদের এলাকাতেই এত সংখ্যক বাঘ নেই। এখানেই করিডর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রজননকার্য্যের জন্য।

  বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থলগুলো যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে এই করিডরগুলোই।  ভারতের National Wildlife Plan 2017-2031 (NWAP) অনুযায়ী কিন্তু এই ক্রমশ যে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত বেড়ে চলেছে তার পিছনে  বন্যজীবের বাসস্থানের সংকোচনের কথাই বলা হয়েছে। বিপন্ন প্রাণীর সংখ্যা বাড়লেই যে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করা যাবে তা কিন্তু নয়। দরকার যথেষ্ট  অরণ্য  তাদের বাসস্থান হিসাবে আর দরকার তাদের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী বন্যপ্রাণী করিডর। যেমন নীলগাই ও কৃষ্ণসার হরিণের সংখ্যা বাড়ায় তাদের এলাকার খেতিজমিতে তারা চলে যাচ্ছে খাবারের খোঁজে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে যেমন এতে,তেমনই ওরা কৃষকদের ভয় পেয়ে আক্রমণও করে ফেলে।  অবশ্য সংখ্যা বাড়াই যে এমন সংঘাতের একমাত্র কারণ তা তো নয়।  এমন ফসলের চাষ যা ওইসব জন্তুরা বেশি পছন্দ করে তা বেশি করে করা বা জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেও তারা এমন করে থাকতে পারে। এতে কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। বন্যপ্রাণীদের করিডরগুলি যদি বেঁচে থাকে তবে এই সমস্যার  অনেকটাই সুরাহা হতে পারে।


উত্তরবঙ্গে হাতিদের করিডর বরাবর চলে গেছে রেলপথ। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ছবি: flickr

বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সড়ক বা রেলপথ এইসব প্রাণীদের জীবনধারণ ও যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করে। তারা অনেক সময়েই যানবাহন বা রেলের চাকায় মারা পড়ে, কারণ যোগাযোগের আর কোন বিকল্প পথ অনেক সময় তাদের থাকে না। Wildlife Conservation Trust এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১১ থেকে ১৯ এর মধ্যে  অন্তত ১৫০টি হাতি মারা গেছে রেলের তলায় কাটা পড়ে। Wildlife Protection Society of India এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৭ টি বাঘ রেলে বা সড়কপথে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বন্যপ্রাণী করিডর থাকলে এই প্রাণীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে বিভিন্ন অরণ্যের মধ্যে।

WCT এর একটি গবেষণা বলছে মধ্য ভারতে দেশের ৩৫ % বাসের বাসস্থান হলেও এখানে তাদের আলাদা আলাদা যে গোষ্ঠীগুলি আছে তাদের সংখ্যা যথেষ্ট নয় জিনগত বৈচিত্র ধরে রাখার জন্য। ফলে সুস্থ, সবল শাবকের জন্মের হার এতে কমতে বাধ্য।


ভারতে বন্যপ্রাণী করিডরের অবস্থা


২০১৯ সালে ভারত সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রক Press Information Bureau এর মাধ্যমে ৩২ টি টাইগার করিডরের তালিকা প্রকাশ করে যা NTCA ও Wildlife Institute of India (WII) চিহ্নিত করেছে। ২০২৩ সালে সরকার ১৫০টি মত হাতিদের করিডর খুঁজে পেয়েছে। অন্য প্রজাতির দ্বারা ব্যবহৃত করিডর নিয়ে সরকার এখনও কিছু করেনি।

National Wildlife Plan  অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাইরেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বিশেষত:  মানুষের সাথে একই ভূ-ভাগে জীবজন্তুদের গতিবিধি আছে। National Wildlife Plan  অনুযায়ী বাঘ ও হাতি ছাড়াও অন্য বড় স্তন্যপায়ীদের ব্যবহৃত করিডরগুলিও চিহ্নিত করা দরকার।  এইসব চিহ্নিত করা করিডরে পরিবেশের সাথে সংযুক্ত থেকেই মানুষের যা কাজকর্ম করার করতে হবে।


NTCA প্রকাশিত বাঘেদের করিডরের মানচিত্র। চিত্রে লাল অংশ গুলি সংরক্ষিত টাইগার রিজার্ভ ও টাইগার করিডর।তার বাইরের অন্যান্য বনাঞ্চল চিত্রে সবুজ অংশগুলি ।

World Wildlife Fund-India-র প্রাচী থাটে জানালেন,” বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য করিডরগুলি আরো বেশি করে চিহ্নিত করার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বিগত কিছু বছর ধরে। অনেক দেশেই এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নতুন নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যার মধ্যে আইনগত পদক্ষেপও আছে। ভারতে যদিও বন্যপ্রাণী করিডরের কোন আইনি সুরক্ষা নেই, কিন্তু বাঘ সংরক্ষণের যে সামগ্রিক পরিকল্পনা তাতে অরণ্যের কোর ও বাফার এলাকার সাথে করিডরের কথাও একই সাথে ভাবা হয়। অন্য জন্তুদের করিডরের যদিও এমন আইনি সুবিধা নেই, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট, বিভিন্ন হাইকোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বারবার বলেছে করিডর সংরক্ষণের কথা।“

থাট্টে আরো জানালেন, " অনেকরকম প্রজাতির প্রাণী যেসব করিডর ব্যবহার করে তাদের সম্বন্ধে আমরা আরো তথ্য সংগ্রহ করছি। বিভিন্ন বনবিভাগের সাথে মিলে করিডরের সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ চলছে।"



ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ইতিহাসে করিডর


মধ্য ভারতের ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিগুলিতে দেখা গেছে বাঘেরা কিভাবে মানুষের এলাকায় যাতায়াত করে। করবেট ফাউন্ডেশনের  অধিকর্তা কেদার গোরে জানালেন, “ বাঘেরা কখনও করিডরের কোন সংকীর্ণ এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না চলাচলের সময়।  অনেকটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে। এগুলো আসলে এমন অরণ্য এলাকা যা সংরক্ষিত নয়। স্থানীয় বন-দপ্তর থেকে  এখানে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য No Objection certificate দেওয়া হয়ে থাকে।   এইসব এলাকায় যে মানুষরা বাস করে তারা জীবনধারণের জন্য বনের উপর অনেকটা নির্ভরশীল। ফলে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত ঘটে।“ তিনি আরও জানান যে Lantana camara র মত বহিরাগত উদ্ভিদের বাড়বাড়ন্ত এই সংঘাতের বড় কারণ। এদের ঘন ঝোপের জন্য দৃষ্টি যায় না অনেক সময় আশেপাশেও।


সমস্যাটা কোথায় রয়েছে?


কেদার গোরে বলছেন, "ভারতে সংরক্ষণের বিষয়টি শুধু অরণ্যেই সীমাবদ্ধ এটাই দুর্ভাগ্য- এখানে তৃণভূমি ও মরুভূমিকে পতিত জমি হিসাবে গণ্য করা হয়। এইসব এলাকায় এমন অনেক প্রজাতি থাকে যারা  এমন জমিতে করিডরগুলিকে চিহ্নিত ও সংরক্ষিত করলে বেঁচে যাবে। যেমন Great Indian Bustard যারা ওড়ার থেকে দৌড়ায় বেশি।  এইসব জায়গাগুলি এখন মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের ফলে বিভক্ত হয়ে গেছে।  এদিকে তৃণভূমি কিন্তু বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কমাতে অরণ্যের মতই বা তার থেকে বেশিই সাহায্য করে।“  তিনি আরও জানালেন এমন অনেক বাস্তুতন্ত্র রয়েছে যাদের কথা আমরা মনেই রাখি না। “সামুদ্রিক কচ্ছপেরা প্রজননের জন্য যখন সৈকতের দিকে যায়  তা বাধা পায় মাছ ধরার ট্রলারের জন্য। বাণিজ্যিক কারণে দেদার মাছ ধরা বন্ধ হলে আর সামুদ্রিক করিডরগুলিকে চিহ্নিত করে সুরক্ষা দিলে শুধু কচ্ছপ নয়, তিমি, ডলফিন ও অন্য প্রজাতিগুলিও  উপকৃত হবে”।


Bird Life International পাখিদের ওড়ার গতিপথ চিহ্নিত করেছে। যেমন মধ্য এশিয়ার পরিযায়ী পাখিদের উড়ালপথ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে অনেক প্রজাতির পাখি বৈদ্যুতিন তারে ধাক্কা খেয়ে মারা যাচ্ছে।

যেসব করিডর নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলির পুনরুদ্ধার দরকার বলে গোরে মনে করেন। করবেট ফাউন্ডেশন মধ্য ভারতে বান্ধবগড় ও তার আশেপাশে এমন অনেক করিডরকে পুনরুদ্ধার করে বনবিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে।  এভাবে ২০১৮ থেকে ২০০০ হেক্টর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে।  তারা দেখেছেন এসব একদা পরিক্তত্য বন আবার প্রাণ ফিরে যাওয়ার বিভিন্ন প্রাণী, এমনকি সন্তানসহ বাঘিনীরাও ফিরে আসছে।

প্রাচী থাটে জানালেন, এমন অনেক করিডর আছে যেখান জমির ব্যবহার বহুবিধ। সাতপুরা-পেঞ্চের যে করিডর আছে মধ্যপ্রদেশে সেখানে ভুট্টা ও তুলার চাষ হয়, রয়েছে খনি এলাকা, রেলপথ আর  জাতীয় ও রাজ্য সড়ক গেছে বনের মধ্যে দিয়ে বা পাশে পাশে।  এর রকম এলাকায় WWF কাজ করছে অধিবাসীদের সাথে মিলে যাতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান সম্ভব হয়।


ব্যাঙ্গালোর থেকে মাইসোর চলে যাওয়া ১০ লেনের হাইওয়ে গেছে লেপার্ড ও হাতিদের গুরুত্বপূর্ণ বাসস্থানের মধ্যে দিয়ে। এভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাদের আবাসস্থলগুলি।


আইনে কী বলছে

গোরে মনে করেন সঠিক নীতি এইসব ক্ষেত্রে সেটাই হবে যেখানে সংরক্ষণ ও স্থানীয় অর্থনীতি সংযুক্ত থাকবে। তিনি বললেন, “তাড়োবা বা কানহার মত সংরক্ষিত অরণ্যে পর্যটন স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে বিরাট প্রভাব রাখে। ফলে মানুষজন বন্যপ্রাণীদের সাথে সংঘাতের ঘটনার প্রতি সহনশীল অনেকটাই। কিন্তু যদি এইসব জায়গা থেকেই ধরুন ১০ কিলোমিটার দূরে চলে যাই, দেখা যাবে লোকজন আর ততটা সহনশীল নয় সেখানে বাঘ বা অন্য বন্যজীবের প্রতি।“

প্রযুক্তির ব্যবহার


প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণেও।  উপগ্রহ চিত্র সাহায্য করছে অনেক ক্ষেত্রেই। প্রাচী জানালেন,  remotely sensed data ব্যবহার করে বন্যজীবদের গতিবিধি বোঝা যায়। WWF একটি অ্যাপ তৈরি করেছে যা স্থানীয় মানুষকে জানিয়ে দেয় কৃষিজমিতে বন্যজীবের উপস্থিতি। মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাতের ঘটনার কথাও বনদপ্তরের সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়।


তথ্য ঋণ:

Conservation genetics. (n.d.). Retrieved from https://learn.genetics.utah.edu/content/science/conservation


Tiger corridors in country. (n.d.). Retrieved from https://pib.gov.in/Pressreleaseshare.aspx?PRID=1594508


Ministry of Environment, Forest and Climate Change. (2017). Wildlife Action Plan 2017-31. Retrieved from https://ntca.gov.in/assets/uploads/Reports/Others/Wildlife_Action_Plan_2017_31.pdf


Corridor Coalition. (n.d.). Wildlife corridors and India’s national wildlife action plan: Brief history & evolution. Retrieved from https://corridorcoalition.org/wildlife-corridors-and-indias-national-wildlife-action-plan-brief-history-evolution


Wildlife Conservation Trust. (2018). Policy framework for CI and EG landscape [PDF]. Retrieved from https://www.wildlifeconservationtrust.org/wp-content/uploads/2018/11/Vol-1-Policy-Framework-CI-and-EG-Landscape-Low-Res-.pdf


Kalpavriksh. (2012). Nepal report [PDF]. Retrieved from https://kalpavriksh.org/wp-content/uploads/2018/07/Nepal-Report-Revised_3-8-2012.pdf


The Gazette of India. (2012, November 8). The government of India Press, New Delhi, India.


National Tiger Conservation Authority. (n.d.). Corridor management. Retrieved from https://ntca.gov.in/corridor-management/#corridor-management


Indian Council of Agricultural Research. (n.d.). Human animal conflict in agro-pastoral context: Issues & policies [PDF]. Retrieved from https://www.icar.gov.in/nasf/documents/Human%20Animal%20Conflict%20in%20Agro-Pastoral%20Context%20-Issues%20&%20Policies.pdf

 

 মূল প্রবন্ধটি Mongabayপত্রিকায় প্রকাশিত। ইংলিশ প্রবন্ধটির অনুমতিক্রমে অনুবাদ করা হল বনেপাহাড়ের পাঠকদের জন্য। মূল প্রবন্ধটির লিঙ্ক: https://india.mongabay.com/2024/04/explainer-what-are-wildlife-corridors/








 

 

Comments


Royal_Bengal_Tiger_Kanha.JPG
bottom of page